বুধবার সকাল থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। ভেতরে মেডিকেল সেন্টারের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে। মেডিকেল সেন্টারের দোতলায় ভিসি অবরুদ্ধ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি’র সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা হয়েছে। সব মিলে বুধবার দুপুর পর্যন্ত পুরোপুরি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কুয়েটে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কুয়েটের সকল প্রকার ক্লাস, পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।
এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ তম নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্যাম্পাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করে আজ বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ মেডিকেল সেন্টার অবরুদ্ধ থাকায় অনলাইনে তিনি সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাজ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম